ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪

শ্রীলঙ্কায় গির্জায় বিস্ফোরণ

নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮৫, বাংলাদেশের হেল্প লাইন চালু 

প্রকাশিত : ১৫:১৯, ২১ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ১৫:২৪, ২১ এপ্রিল ২০১৯

শ্রীলঙ্কার তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৮৫ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। রোববার সকালে ইস্টার সানডে-এর প্রার্থণা চলাকালে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

একই ঘটনায় ৩শ জনেরও অধিক আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে হতাহতের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানা গেছে।

এদিকে এ খবরে বেশ উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছেন শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশ দূতাবাসের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ। নিহত ও আহতের মধ্যে বাংলাদেশি আছে কিনা তার খোঁজে তৎপর বাংলাদেশ দূতাবাস।

তিনি বলেন, বাংলাদেশিদের কারও কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে বা কারও ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকলে আমাদের হাইকমিশনের কর্মকর্তা মোসা. মাহমুদা (+94712406313) এর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করছি।

শ্রীলংকার পুলিশকে উদ্ধৃত করে দেশটির দ্য ডেইলি মিরর পত্রিকা জানিয়েছে, তিনটি গির্জায় অন্তত ছয়টি বিস্ফোরণ হয়েছে।

এছাড়া তিনটি পাঁচ তারকা হোটেলে বিস্ফোরণের খবর দিচ্ছে পত্রিকাটি। আহতদের মধ্যে বিদেশী পর্যটকও রয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

পুলিশ জানায়, ‘রোববার সকাল পৌনে নটার দিকে  ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজধানী কলম্বো। ইস্টারের প্রার্থনার সময় তিনটি গির্জায় বিস্ফোরণ ঘটে। একই সঙ্গে তিনটি হোটেলেও পর পর বিস্ফোরণ ঘটে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।’

এখনো উদ্ধার কাজ চলছে বলেও জানায় পুলিশ। কলম্বোর কোচ্চিকাড়ের অ্যান্টলি গির্জা,কাতুয়াপিতিয়ার সেন্ট সিবেস্টিয়ান গির্জা-সহ একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের ভয়াবহ শব্দ শোনা গিয়েছে।

সাংরি লা, সিনামন গ্র্যান্ডের মতো বিলাসবহুল হোটেলেও চলে হামলা। হোটেলগুলিতে অসংখ্য বিদেশি পর্যটক ছিলেন বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

ইতোমধ্যেই বিস্ফোরণের বিভিন্ন ছবি উঠে এসেছে টুইটার এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। তবে কোন জঙ্গি গোষ্ঠী এই বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়৷

শ্রীলঙ্কা মূলত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদেরই দেশ। দেশে খ্রিস্টধর্মে বিশ্বাসী ক্যাথলিকদের সংখ্যা ছয় শতাংশ মাত্র। ইস্টারের প্রার্থনার কারণে গির্জায় বেশ ভিড় ছিল, তাই এই নির্দিষ্ট সময়টাকেই জঙ্গিরা বেছে নিয়েছে বলে মত কলম্বো পুলিশের।

তথ্যসূত্র: বিবিসি ও আনন্দবাজার

এমএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি